বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকৃতির পালাবদলে চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন ফলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারে। লিচু, কাঁঠাল, আম, আনারস, বেল, বাঙ্গি, তরমুজের মতো ফলের গন্ধে একাকার প্রতিটি বাজার।
নগরীর চারারগোপ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নানা ধরনের ফলের সমারোহ। এসেছে পাহাড়ি কাঁঠাল ও আনারস। সেগুলো বিক্রি করছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা। কাঁঠালের দাম গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা বেশি। আগে ছোট আকারের কাঁঠাল বিক্রি হতো ৬০-৭০ টাকায়। এবার তার চেয়ে ২০ টাকার মতো বেশি। মাঝারি আকারের কাঁঠালের দাম ১১০ টাকা। বড় আকারের কাঁঠালের দাম ১৫০ বা তার বেশি। আনারসের হালি ১২০ টাকা। বেলের হালি ২০০ টাকা। নগরের চাষাঢ়া, কালিরবাজার, ২নং রেল গেইট এলাকাতেও ভ্যানগাড়ী করে বসেছে ফলের পসরা।
ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় টসটসে লিচু বিক্রি হচ্ছে। ১০০টি লিচুর দাম ২০০-২৫০ টাকা। পাকা আমের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। কালো রঙের তরমুজ ১৫০ টাকা, বাঙ্গি ৫০-১৫০ টাকা। এলাকার বাসিন্দা আসলাম বলেন, ‘বড় আকারের লিচু এখনো বাজারে ওঠেনি। এখন যে লিচু উঠছে তার দাম বেশি, টকও বেশি।’
কাঠাল ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়ৎ থেকে কাঁঠাল নিয়ে আসতে হলে পথে বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয়। ফলে দাম বেশি পড়ে যায়। কিন্তু শহরে এসে দেখা যায়, ক্রেতার সংখ্যা কম। তাই কাঁঠালের দামও কম। ফলে গতবারের তুলনায় তেমন লাভ করতে পারছেন না তারা।
মৌসুমী ফল ক্রয় করা ক্রেতারা জানান, গ্রীষ্ম মৌসুমে নানা ধরনের দেশীয় ফল বাজারে এসেছে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে। ভাইরাস মোকাবিলায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দরকার। এই সময়ে দেশি ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হবে।
এসএমআর